Rajmata Temple - রাজমাতা মন্দির |
ভারতের কোচবিহার জেলায় বহু বছরের পুরনো মন্দির। এটি ভারতের কোচবিহার জেলার প্রাচিনতম অন্যতম মন্দির। জানা যায় ১৭৭০ সালের আগে থেকেই এই মন্দিরের অস্তিত্ব ছিলো। মন্দিরের নাম রাজমাতা মন্দির কেন নাম করন করা হয়েছিলো এটিই এখনো অজানা। তবে যতদুর জানা যায় বা জানা গেছে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা নরেন্দ্র নারায়ণের জ্যেষ্ঠ রাণী মহারানী নিস্তারিণী দেবী। ব্যাক্তিগত ভাবেই এই রাজমাতা এই মন্দির প্রতিষ্টা করেছিলেন। আর সেই জন্য হয়তো এই মন্দিরের নাম করন করা হয় বা রাজমাতা মন্দির নামে পরিচিত লাভ করেছিলো।
রাজমাতা মন্দিরের বর্তমান অবস্থা
রাজমাতা মন্দিরের বর্তমানে খুবই খারাপ। রাজমাতা মন্দির টি পরিচালনা করেন, কোচবিহারা দেবাত্তর ট্রাস্ট। রাজমাতা মন্দিরের সংস্করণ এর অভাবে মন্দিরের চারদিকে শেউলা, ও বিভিন্ন ধরনের গাছের লতাপাতায়, জংগলের সৃষ্টি হয়েছে। তবুও রাজমাতা মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমে এখনো নিত্য পুজা করা হয়। রোজ রোজ ভীর লেগে থাকে দর্ষনার্থীদের।
রাজমাতা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
রাজমাতা মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বহুবছর আগে। তবে যতটুকু জানা যায় মহারাজ নরেন্দ নারায়নের প্রথম স্ত্রী মহারানী নিস্তারিনী দেবী। ১৭৭০ সালে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন থেকেই এই রাজমাতা মন্দিরে নিত্যসেবা প্রদান করে আসছে।
কোচবিহার জেলার রাজমাতা দিঘি মদন মোহন বাড়ি থেকে উত্তরে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রাজমাতা মন্দিরের ঠিকানা
ভারতের কোচবিহার জেলার রাজমাতা দিঘি থেকে উত্তরে মদনমোহন বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নতুন কোচবিহার রেল স্টিশন থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। কোচবিহার এসে যে কাউকে রাজমাতা মন্দিরের কথা বললে দেখিয়ে দেবে। অথবা যেকোন গাড়িতে উঠে যদি রাজমাতা মন্দির যাবেন বলেন তাহলে আপনাকে নিয়ে যাবে।
রাজমাতা মন্দিরের দেবদেবী
রাজমাতা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী থেকেই এই মন্দিরে রাধারমণ ও দেবী তারা কালী মায়ের পূজা হয়ে আসছে। এখানে রাজমাতা মন্দির সভ্যবামা রাধারমন ও দেবী কালী মায়ের প্রতিদিন পুজিত হয়ে আসছেন। এবং নিত্যসেবা দিয়ে থাকেন। আর এই পুজা দেখতে প্রতিদিনই বহু মানুশের সমগম হয়ে থাকে।
রাজামাতা মন্দির কখন খোলা থাকে
রাজমাতা মন্দির প্রতিদিন ভক্তদের জন্য সকাল সাড়ে ৯টা থেকে খোলা হয়ে থাকে। আর যেদিন প্রচুরসংখ্যক দর্ষনার্থী আসেন বা বাইরে বহুদুর থেকে আসেন মন্দির পরিদর্ষন বা মায়ের পূজা দিতে তখন সকাল ৬টার সময় খোলা হয়ে থাকে।
রাজামাতা মন্দির কখন বন্ধ করা হয়
রাজমাতা মন্দিরে প্রতদিন সকাল বেলা ৯ঃ৩০ মিনিটে খোলা হয়ে থাকে। আর বন্ধ করা হয়, সন্ধে আরতির পর। তবে কখনো কখনো বন্ধ করা হয় না।
রাজমাতা মন্দিরের পুজোর সময়
রাজমাতা মন্দিরে ৩ বার পুজা হয়। সকাল ১০ টার পরে দেবতা ও দেবদেবীর আরাধনা করা হয় এবং দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধেবেলা সন্ধে আরতি করা হয়ে থাকে।
রাজমাতা মন্দিরের বৈশিষ্ট্য
রাজমাতা মন্দির দক্ষিন মুখ করে রয়েছেন। রাজমাতা মন্দির একতলা বিশিষ্ট আর মাঝখানে রয়েছে একটি গম্বুজ। রাজমাতা মন্দিরে রয়েছে তিনটি কক্ষ। রাজমাতা মন্দির রাজ আমলের ভারতবর্ষের প্রাচিনতম মন্দিরের পুরাকির্তী রুপে অবস্থান করেছে।
রাজমাতা মন্দিরে যেকোন যানবাহনে আসতে পারবেন। রাজমাতা মন্দিরে রয়েছে দর্শনার্থীদের থাকার বেবস্থা। চাইলে আপনি রাজমাতা মন্দিরে অবস্থান করতে পারবেন।
রাজমাতা মন্দিরের সামনেই রয়েছে, রাজমাতা দিঘি যা রাজ আমলেই এই দিঘিটি খনন করা হয়েছিলো। রাজমাতা মন্দিরের সামনে রাজমাতা দিঘি থাকার কারনে এই রাজমাতা মন্দিরের চারদিকে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
রাজমাতা মন্দিরের পুজোর নিয়মাবলি
রাজমাতা মন্দিরে পুজার জন্য অনলাইন কোন ব্যবস্থা নেই। রাজমাতা মন্দিরে পুজা যদি দিতে চান তাহলে আপনাকে পুজার সামগ্রী নিয়ে আসতে হবে। তারপর আপনাকে মন্দিরের কমিটির লোকজনের কাছ থেকে কুপন নিয়ে তাদের হাতে আপনার পুজার সামগ্রী জমা দিতে হবে। তারাই আপনার পুজা নিবেদন করার পর ভোগ প্রদান করবেন আপনাকে।
রাজমাতা মন্দিরের দানের জন্য তেমন কোন নিয়ম নেই আপনার সাধ্যমতো আপনি দান করতে পারবেন। এখানে আর কোন বিসেস নিয়ম নেই।
রাজমাতা মন্দিরের সবচেয়ে বড় উৎসব
রাজমাতা মন্দিরের সবচেয়ে বড় পুজা হয় দোল পুর্নিমাতে। দোল পুর্নিমার দিন এখানে সবচেয়ে বড় পুজা করা হয়। এছাড়াও রাজমাতা মন্দিরে রটন্তী কালীপুজার প্রচল আছে। এছাড়াও প্রতিদিনি বিশেস করে কালীপুজা করা হয়।
রাজমাতা মন্দিরের লোকশন
Rajmata Temple
https://maps.app.goo.gl/fJBRRoFZTHSixD9v6